Latest Movies

Today Best choice
check all movies now playing

Friday, May 25, 2018

সুপারহিরো'র নতুন পোস্টার।

শাকিব খানের আপকামিং সিনেমা 'সুপারহিরো'র নতুন পোস্টার। 

২৭ মে আসবে সিনেমার টিজার। 

কিছু বলবনা,বললে চাকরী থাকবেনা !! 😅😅

‘সাঞ্জু’ হতে চেয়েছিলেন আমির খান!

ট্রেলার দিয়েই বাজীমাত করেছে ‘সাঞ্জু’। বলিউড তারকা সঞ্জয় দত্তের জীবনী নিয়ে রাজকুমার হিরানী নির্মাণ করেছেন সিনেমা, আর সেখানে সঞ্জয় রূপে আবির্ভূত হয়েছেন রনবীর কাপুর- সেটা তো সবাই জানেন। সঞ্জয়ের চরিত্রের ভেতরে কি দারুণভাবে ঢুকে গিয়েছেন রনবীর, সেটাও ট্রেলারে দেখা গেছে, প্রমাণ মিলেছে স্থিরচিত্রগুলোতেও। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলিউড সুপারস্টার আমির খানকেও! সাঞ্জু’র চরিত্রে নয়, তার বাবা সুনীল দত্তের চরিত্রে আমিরকে চেয়েছিলেন হিরানী। কিন্ত স্ক্রীপ্ট পড়ে সঞ্জয়ের চরিত্রটাকেই সবচেয়ে পছন্দ হয়েছিল তার। একারণে সুনীল দত্তের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
গতকাল মুম্বাইয়ে একটা বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এসেছিলেন আমির খান আর রাজকুমার হিরানী। সেখানেই জানা গেল এই ‘গোপন’ সংবাদ। সাঞ্জু’র ট্রেলারে স্বাভাবিকভাবেই মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন আমির। হাসতে হাসতেই তিনি বললেন, “এই চরিত্রটা আমারও ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। রাজু(রাজকুমার হিরানী) যখন আমাকে স্ক্রীপ্টটা দিয়ে প্রস্তাব দিলো অভিনয়ের, সেটা পড়ে আমি ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলাম। ও চাইছিল আমি যাতে দত্ত সাহেবের(সুনীল দত্ত) চরিত্রটা করি। বাবা-ছেলের সম্পর্কটা বিশাল ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। এই চরিত্রটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সিনেমাতে। কিন্ত সঞ্জয়ের চরিত্রটা ছিল অবিশ্বাস্য। একবার সেটার ওপরে চোখ পড়লে বাকী সবকিছু পানসে মনে হবে।”
“আমি রাজুকে বলেছিলাম, সাঞ্জু চরিত্রটা আমার অসম্ভব পছন্দ হয়েছে। এটা সত্যিই অসাধারণ। তাই এই সিনেমায় যদি আমি অভিনয় করি, এই রোলটা ছাড়া অন্য চরিত্রগুলো আমার কাছে পানসে মনে হবে। কিন্ত সাঞ্জু তো আমি করতে পারবো না, কারণ সেখানে তুমি ইতিমধ্যে রনবীরকে নিয়েছো। তাই আমাকে অন্য কোন চরিত্র অফার করার দরকার নেই।”
সঞ্জয় দত্তের ক্যারিয়ারে নতুন জীবন দিয়েছিলেন রাজকুমার হিরানী। জেল থেকে বেরিয়ে সঞ্জয় তখন মোটামুটি হারিয়ে গেছেন বলিউডের মানচিত্র থেকে।তখন সঞ্জয়কে নিয়ে মুন্নাভাই এমবিবিএস বানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন হিরানী। বলিউডের দর্শকেরা মুন্নাভাই হিসেবে সঞ্জয়কে যেভাবে গ্রহণ করেছিল, সেভাবে আর কোন চরিত্রেই বোধহয় করেনি। এরপরব সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে মুন্নাভাইয়ের দ্বিতীয় কিস্তি ‘লাগে রাহো মুন্নাভাই’ও নির্মাণ করেছিলেন হিরানী। এবার তো সঞ্জয়ের জীবনটাকেই তিনি তুলে আনছেন সিনেমায়।
‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমাটা দিয়ে আমির খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন হিরানী। সেই একটা সিনেমাই বলিউডে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বলিউডে। বক্স অফিসের রেকর্ড ভেঙে করেছিল চুরমার। এখনও থ্রি ইডিয়টস দেখতে বসলে মনেই হয় না আগে দেখেছি, প্রতিটা দৃশ্য নতুনের মতো লাগে। এরপরে ‘পিকে’ নিয়ে এসেছে এই জুটি। সেটাও দর্শকের মন জয় করেছে, রেকর্ড গড়েছে বক্স অফিসে। তবে হিরানী এবার নতুন জুটি গড়েছেন রনবীরের সঙ্গে। আর ট্রেলার এবং স্থিরচিত্র দেখার পরে সবাই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন, সঞ্জয়ের চরিত্র রনবীরের চেয়ে ভালোভাবে কেউ অনুকরণ করতে পারতেন না।
আমির অবশ্য ‘সাঞ্জু’ হতে না পারায় একটুও মন খারাপ করেননি। বরং তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন সিনেমাটা দেখার জন্যে। সাঞ্জু হিসেবে রনবীর দুর্দান্ত কিছু করবেন বলেই তার বিশ্বাস, রনবীরকে দারুণ অভিনেতা বলেই স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
সঞ্জয় দত্তের বাবা প্রয়াত অভিনেতা সুনীল দত্তকে নিয়েও কথা বলেছেন আমির খান। খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল দুজনের, সুনীল দত্তকে নিজের সত্যিকার শুভাকাঙখী হিসেবেও মানেন আমির। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন- “সুনীল আঙ্কেল আমাকে নিয়মিতই টেলিগ্রাম পাঠাতেন, ঈদ-পূজা-নতুন বছর, সব উপলক্ষ্যতেই। যখন আমার সিনেমা ভালো করতো, তখন নিজে থেকেই ফোন করতেন আমাকে, ভীষণ খুশী হতেন তিনি।”
“একটা রাতের কথা আমি স্পষ্ট মনে করতে পারি। ১৯৯৩ সালে দাঙ্গা শুরু হয়েছে। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমরা কয়েকজন ভাবলাম, এটা বন্ধ করার জন্যে সরকারকে চাপ দিতে হবে। প্রায় চল্লিশজন মানুষ মূখ্যমন্ত্রীর অফিসে গেলাম, কিন্ত উনি আমাদের সরাসরি কোন আশ্বাস দিলেন না। আমরা কয়েকজন ঠিক করলাম, এভাবে চলতে দেয়া যাবে না। আমরা তখন মন্ত্রণালয়ে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যের নীচে দাঁড়াবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম।”
“সেদিন রাতে আমরা শুধু চারজন ছিলাম। যশ চোপড়া, জনী ওয়াকার, সুনীল আঙ্কেল এবং আমি। পরদিন তো আরও অনেকেই যোগ দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে। সেই রাতে অনেক গল্প শুনেছিলাম ওদের কাছে। সিনেমার গল্প, সিনেমার বাইরে জীবনের গল্প। সেই রাতের স্মৃতিটা আমি কখনও ভুলবো না। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ ভদ্রলোকদের একজন ছিলেন সুনীল দত্ত।”
তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস

এই সিনেমাগুলোতেও অভিনয় করেছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী!

তার জীবনটা সিনেমার গল্পকেও হার মানায় কখনও কখনও। এমন একটা জায়গা থেকে তিনি উঠে এসেছেন, যেখানে ফসল মাড়াইয়ের শব্দে সকালে ঘুম ভাংতো, আর রাতে ঘুমের মধ্যে শোনা যেত ডাকাতদের বন্দুকের আওয়াজ। তার এলাকার মানুষের কাজ ছিল দুটো- হয় কৃষিকাজ করতো, নইলে ডাকাতি। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার বুধানা নামের যে অজ-পাড়াগাঁ থেকে তিনি উঠে এসেছেন, সেই গ্রামে তিনিই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা প্রথম যুবক!

রসায়নের মতো কাঠখোট্টা একটা বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে চাকুরীতে ঢুকেছিলেন। কিন্ত হুট করেই প্রেমে পড়লেন অভিনয়ের। চাকরী ছেড়ে থিয়েটার যোগ দিয়েছিলেন। এখন আমরা বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে চিনি, পর্দায় তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হই। কিন্ত এই জায়গাটায় আসতে যে তাকে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে, কত উপেক্ষার বঞ্চনা সইতে হয়েছে, সেটা জানে সময়, আর জানেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী নিজে।

ফিল্মে কাজ করবেন ভেবে মুম্বাইতে চলে এসেছিলেন। কিন্ত তার যে চেহারা, সেটা দেখে তো তাকে কেউ সিনেমায় নেবে না! খুবই ছোটখাটো রোলে দুয়েকবার দেখা যেতো তাকে, হয়তো নায়কের হাতে মার খাচ্ছেন, বা হাত পা ধরে মাফ চাইছেন, অথবা পাসিং শটে পথচারী হিসেবে হেঁটে চলে যাচ্ছেন। পাঁচশো-হাজার টাকা পাওয়া যেত এগুলো করে। সেটা দিয়েই দুটো দিনের খাবারের ব্যাবস্থা হয়ে যেত নওয়াজের।

অনেক বলিউডি দর্শকই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে চেনেন গ্যাংস অব ওয়াসিপুর দিয়ে। কেউবা ভাবেন, হয়তো তালাশে অভিনয় করেই বলিউডে জায়গা পেয়েছেন নওয়াজ। আবার নিউইয়র্ক সিনেমায় ক্যামেরার সামনে দুই মিনিটের সেই দৃশ্যটাকেই নওয়াজের অভিষেক হিসেবে মনে করেন অনেকে। কিন্ত বিখ্যাত আর অখ্যাত বেশকিছু বলিউডি সিনেমায় এর আগেও নওয়াজকে দেখে গেছে, যখন হয়তো তিনি ‘সুপারস্টার’ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী হয়ে ওঠেননি, যখন লোকে তাকে চিনতোই না। সেরকম কয়েকটা সিনেমায় এই শক্তিমান অভিনেতার অভিনয়ের গল্পই শোনাবো আজ।

#সারফারোশ- আমির খানের সিনেমা ছিল এটা। আমির ছিলেন পুলিশ অফিসার। আর নওয়াজের চরিত্রটা ছিল এক অপরাধীর, তথ্য সংগ্রহের জন্যে যাকে থানায় এনে বেদম পেটানো হয়। অল্প কিছু সময়ের জন্যে পর্দায় ছিলেন নওয়াজ, হয়তো সবটুকু মিলিয়ে এক মূহুর্তও নয়। তবে কোন রোল যে ছোট হয় না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অনেক বছর পরে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী যখন আমির খানের সঙ্গে তালাশ সিনেমায় অভিনয় করছেন, তখন তিনি আমিরকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সেই দৃশ্যটির কথা। আমির অবশ্য বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন যে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীও ছোট্ট একটা চরিত্রে সারফারোশে অভিনয় করেছিলেন!

#মুন্নাভাই_এমবিবিএস- রাজকুমার হিরানীর এই সিনেমাটা নতুন জীবন দিয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। সেই সিনেমাতে নওয়াজও ছিলেন, যথারীতি একটা ছোট চরিত্রে। পকেটমারের রোলে অভিনয় করেছিলেন নওয়াজ, সিনেমার মধ্যে লোকজন যাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। সেখানেও তার চরিত্রের ব্যাপ্তি খুব বেশী ছিল না।

#আজা_নাচলে- মাধুরী দিক্ষিতের কামব্যাক ফিল্ম ছিল আজা নাচলে। বলিউডের এই ড্যান্স-ড্রামাধর্মী সিনেমাতেও অল্প একটু সময়ের জন্যে দেখা গিয়েছিল নওয়াজকে। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র নওয়াজের জন্যে তখনও স্বপ্ন। এসব খুচরো রোল করেই মুম্বাইতে কোনমতে দিন কাটাচ্ছিলেন এই অভিনেতা।

#ব্ল্যাক_ফ্রাইডে- এই সিনেমাটাতে আসগর মুকাদাম নামে এক চরমপন্থীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নওয়াজ, পুলিশ কাস্টোডিতে যাকে প্রচণ্ড মারপিট করা হয় তথ্য সংগ্রহের জন্যে। ব্ল্যাক ফ্রাইডের শুটিং হয়েছিল ২০০৩ সালে, পরের বছর একটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সিনেমাটা মুক্তি পেয়েছিল। কিন্ত দীর্ঘদিন ভারতে মুক্তি দিতে দেয়া হয়নি এই সিনেমাটা, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখা হয়েছিল এটার ওপরে। ২০০৭ সালে অল্প কয়েকটা সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল ব্ল্যাক ফ্রাইডে।
তবে এই সিনেমাটা নওয়াজের জীবনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই সিনেমাতে কাজ করতে গিয়েই অনুরাগ কাশ্যপ নামের এক পাগলাটে পরিচালকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর। নওয়াজের ভেতরের শক্তিশালী অভিনেতার সত্ত্বাটাকে যিনি আবিস্কার করেছিলেন, যিনি নওয়াজকে কথা দিয়েছিলেন- ‘আপনাকে নিয়ে পুরো একটা সিনেমা বানাবো আমি।’ সেটারই ফসল হিসেবে এসেছে গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরের দ্বিতীয় কিস্তি, যে সিনেমাটা নওয়াজের জীবনটাই পাল্টে দিয়েছে।

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী মানেই বজরঙ্গী ভাইজান বা কিক সিনেমার প্রভাবশালী চরিত্রগুলো ভাবলে ভুল হবে। নওয়াজ মানেই রইস সিনেমার সেই দাপুটে পুলিশ অফিসার নয়, কিংবা গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরের ‘ফায়জাল খান’ নয়। আজকের নওয়াজ গড়ে উঠেছেন সেই ছোট্ট ছোট্ট চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে। হয়তো সেগুলো শুধুই পেট চালানোর জন্যেই করা হয়েছিল, কিন্ত সেই কষ্টের সময়গুলো, সেদিনের সেই ছোট্ট ছোট্ট অগুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোই তো তাকে আজকের নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী হতে সাহায্য করেছে।

Movie Review: Wonder (2017)

Genre : Family, Drama
IMDB rating : 8/10
My rating : 9.5/10
সত্যি বলতে আগে হলিউডের মুভি মানেই বুঝতাম Action, Adventure, Horror, Thriller এগুলোকে... Family/ Drama মুভি দেখতে অনেক ভাল লাগত। ভাবতাম বলিউডেয় মনে হয় সব থেকে ভাল family/drama মুভি বানাতে পারে... কখনো হলিউডের drama মুভিগুলো দেখার ট্রাইও করিনি।
কিন্ত গত ২/৩ বছর আগে ১টা মুভি দেখেছিলাম, My Sister's Keeper. ঐটা দেখার পর আমি পুরো থ হয়ে গিয়েছিলাম.. এত সুন্দর ফ্যামিলি ইমশোনাল মুভিতো বলিউডেও হয়না! এরপর থেকে হলিউডের action/ adventure থেকে family/ drama মুভিগুলোই বেশি ভাল লাগে আমার থেকে..😁😁
গতকাল Wonder মুভিটা দেখলাম। এক কথায় অসাধারন। একজন facial deformity তে আক্রান্ত ছেলের গল্প, যে কিনা একটু আলাদা চেহারা নিয়ে জন্মগ্রহন করে। স্কুল জীবনের শুরুতে সে কিভাবে সবার অপমানের স্বীকার হয়, কিন্ত পরে পরিবারের সহযোগিতা ও নিজের মানসিক শক্তির সাহায্যে যেভাবে স্কুলের সবার মন জয় করে তা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে এ মুভিতে। একটি পারফেক্ট family/drama মুভি। কি নেই মুভিতে, মার সাথে ছেলের, বাবার সাথে ছেলের, মার সাথে মেয়ের, ভাইয়ের সাথে বোনের, বন্ধুর সাথে বন্ধুর সবগুলো সম্পর্ক আমার ভাল লেগেছে। আর বেশি কিছু বলবনা, বাকিটা আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
At last I must say, the movie is one to watch... 😍😊

Movie Review: #Pari_not_a_fairytale

"সুলাইমান বললো, “হে সভাসদগণ (জ্বীনদের)! তারা অনুগত হয়ে আমার কাছে আসার আগে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারে?
এক বিশালকায়-শক্তিশালী জ্বীন (ইফ্রিত) বললো, আপনি নিজের জায়গা ছেড়ে ওঠার আগেই আমি তা এনে দেবো৷আমি এ শক্তি রাখি এবং আমি বিশ্বস্ত৷"

সূরা-আন-নামল (২৭ঃ৩৮-৩৯)

পবিত্র কুরআন শরীফ এবং সহীহ বুখারী থেকে এই "ইফ্রিত" নামটি চলে আসে, এই ইফ্রিত আসলে কি বা কেন একে নিয়েই আলোচনা। (রেফারেন্সঃ Wikipedia)

"ওলাদচক্র" নামের একটা কু-চক্রি চক্র যাদের কাজ ছিল ইফ্রিতের বংশ রক্ষা করা ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, ঠিক এমনি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে, হঠাৎ করেই যেন গায়েব হতে থাকে সে এলাকার নারীরা। আর এই ভয়ংকর বিষয়টির জন্য "কেয়ামত আন্দোলন" নামে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাসিম আলী। এই আন্দোলন যথেষ্ঠ সমর্থন লাভ করলেও এই আন্দোলনের বিষয়বস্তু, প্রক্রিয়া আর ফলাফল ছিল অনেকটা উগ্রপন্থী আর এই কারণেই সরকার এই আন্দোলন ন্যাসাৎ করেছিল।

এই ইফ্রিতের সাথে আসলে গায়েব হওয়া নারীদের কি সম্পর্ক? আর সেখানে কেয়ামত আন্দোলনও বা কি ভূমিকা রেখেছিল? আবার এই ইফ্রিতের বংশের ধারাবাহিকতাও কিভাবে প্রক্রিয়াশীল? সব কিছুর উত্তর মিলবে যদি সেই প্রফেসর কাসিম আলী রচিত "The Evil Child" বইটি পড়া যায়।এই বইয়ে লেখক সুন্দর ভাবে বর্নণা করেছেন।🤨🤨

ইফ্রিত হলো শক্তিশালী, বিশালাকায়, দানবাকৃতির এক অন্যতম জ্বীন গোষ্ঠী। বলা হয়ে থাকে তারা ইব্লিশের বংশধর, এই ইফ্রিত জাতিদের মধ্যে ভাল-মন্দ থাকলেও, খারাপদের সংখ্যাটায় বেশি।☠️☠️☠️

এদের অন্যতম, অনন্য আর অবাক করা বৈশিষ্ট্য হল এরা মানুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, এদের সন্তান মানব সন্তানের মত ৯ মাসের মত দীর্ঘযাত্রা নয় বরং হিজরি অনুযায়ী মাত্র ১ মাসের মধ্যেই এরা প্রসব করে ইফ্রিত সন্তান, এখানে আরেকটি আশ্চর্য্যের বিষয় হল প্রসবের সময় এদের মানব শিশুর মত "নাভি-রজ্জু বা Umbilical Cord" থাকে না, অনেক আজব তাই না!!!! 😯😫

এই ইফ্রিতের রক্তও মারাত্বক রকমের বিষাক্ত এবং এই বিষ এতটায় মারাত্বক যে যদি ইফ্রিত সন্তান সেটি ২৮ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে বা খালাস করতে না পারে তাহলে নিজের বিষক্রিয়ায় সে নিজেই মৃত্যুবরণ করবে। 😮🙄😮

এখন আসুন, যারা The Evil Child বইটি পড়তে পারছেন না তারা দ্রুত দেখে ফেলুন প্রসিত রয় এর এক অনবদ্য Pari - not a fairytale এই মুভিটি আজ অবধি সকল ভারতীয় হরর এর স্রোত থেকে আলাদা করে তৈরী করে নিয়েছে নিজস্ব ধারা। এখানেই মিলবে আপনার সব না-জানা উত্তর আর জেনে যাবেন গল্পের থিম নায়ক "ইফ্রিত"কেও।😍😍😍

গল্পের প্রথমেই এক বর্ষাস্নাত দিনে বিয়ের পাত্রী পায়েলী (রিতাভারী চক্রবর্তী) দেখে বাসায় ফিরছিল অর্ণব (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) ও তার পরিবার।
একটা সময়, আকস্মিক! এক বোরখা পরা এক মহিলা পড়ল তাদের গাড়ির একদম সামনে, এরপর শুরু হয় সেই মহিলার পরিবারের অনুসন্ধান, যুক্ত হয় পুলিশ।এই অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এই মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র রোখসানা (আনুশকা শর্মা)।

রোখসানার সাথে অর্ণবের রহস্যপূর্ণ সম্পর্ক, রোখসানার আশ্রয়দাতা হিসেবে এখন কিছুটা সে কিংকর্তব্যবিমূড়, ধীরে ধীরে নিরীহ আর অস্বাভাবিক মেয়েটার প্রতি সন্দেহ বাড়তে থাকে বৃষ্টির শব্দের সাথে।

এরপর প্রফেসর কাসিম আলী (রজত কাপুর) এর সাথে অর্ণবের বোঝা-পড়া, হবু-স্ত্রী পায়েলীর সাথে ভুল বোঝা-বুঝি, আশে-পাশের বে-খেয়ালি কর্মকাণ্ড।

( এতো কিছুর মাঝে ইফ্রিত কই?? এতসব ঘটনার সাথে এসবের সামঞ্জস্য কোথায়?? মুভিটায় এসবের উত্তর)

এভাবে এগোতে থাকে সিনেমা এক ঝুম বৃষ্টি সাথে নিয়ে, তার সাথে আরো চলতে থাকে অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, স্ক্রীন-প্লে, গ্রাফিক-ভিজুয়াল। সব যেন, এক ছন্দে নিবেদিত প্যাকেজ।🤩🤩🤩

আমার দেখা ইন্ডিয়ান বেস্ট হরর জনরার মুভি এই পর্যন্ত। নিস্তব্ধ রাতের অঝড় বৃষ্টিতে এই মুভি দেখে আসলেই ভালো লাগবে।
Highly Recommended 😎😎😎

বি।দ্রঃ অনেক ভয় লাগবে এই ভেবে আর অনেক ভয়ংকর কিছু খুজতে যেয়ে মুভির কাহিনী থেকে বিচ্যূত হইলে সবকিছুই হারাবেন, অন্তত শেষ হয়ার আগ পর্যন্ত কাহিনীতে হারিয়ে যান।

Thursday, May 24, 2018

মুভি রিভিউ - Bangalore Days (2014)

IMDb - 8.3/10
Personal rating - 9.3/10
#error404noস্পয়লার
এয়ারটেলের স্লোগান আছে না একটা, বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল? ব্যাঙ্গালোর ডেজ মুভিটাতে দেখবেন এমনই এক বন্ধুত্বের গল্প। আমার প্রিয় ৫টা মালায়ালাম মুভির মধ্যে এটা অন্যতম। তার উপর নিভিন দুলকার নাজরিয়া পার্বতী সব একসাথে। চরম সিনেমাটোগ্রাফ। 😍
কুঞ্জু (নাজরিয়া নাজিম), কুট্টান (নিভিন পাউলি) আর অর্জুন (দুলকার সালমান) ৩ জন সম্পর্কে কাজিন হলেও ছোটবেলা থেকে তাদের দৃঢ় বন্ধুত্ব। কুট্টান একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, অর্জুন বাইক মেকানিক আর শখের রেসার হলেও স্কুলের পর আর পড়েনি বাবা মায়ের ডিভোর্সের পর, কুঞ্জুর গ্র‍্যাজুয়েশন কমপ্লিট। ৩ জনেরই স্বপ্ন পুরো ব্যাঙ্গালোর ঘুরে দেখার। ব্যাঙ্গালোর তাদের স্বপ্নের শহর। কিন্তু মাঝখানে ফ্যামিলির চাপে কুঞ্জুর বিয়ে ঠিক হয়ে যায় দাস (ফাহাদ ফাসিল) এর সাথে। বিয়ের পর কুঞ্জু হাসব্যান্ডের সাথে চলে যায় ব্যাঙ্গালোর। খুব একা একা লাগে তার সেখানে, ২ বন্ধু কুট্টান ও আজুকে মিস করে অনেক। তাই কুঞ্জুকে নিয়ে ব্যাঙ্গালোর ঘুরে বেড়ানোর প্ল্যান বানায় কুট্টান আর অর্জুন। একে একে ব্যাঙ্গালোরে তাদের প্রত্যেকের জীবনে ঘটে ইন্টারেস্টিং কিছু ঘটনা। প্রেম, দুঃখ, কষ্ট, সুখ, আনন্দ নিয়ে জীবনকে নতুন করে কীভাবে তারা উপলব্ধি করে সেটা নিয়েই এর গল্প।
মুভিটা কিন্তু মোটেও প্রেডিক্টেবল না, তাই অল্প একটু দেখেই ফুল কাহিনী বুঝে ফেলার চান্স নাই। ছোটখাটো টুইস্ট আছে। মুভিটার সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে এর গল্প। খুব সুন্দর একটা গল্প। জীবনে বন্ধু, পরিবার ও প্রিয় মানুষদের গুরুত্ব কতটা সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন দেখে। IMDb top rated indian movies এ #48 নাম্বারে আছে এটা। ২০১৪ তে মালায়ালামের হাইয়েস্ট গ্রোসিং ফিল্মের মধ্যে একটা ছিল এটা। আর তাছাড়া এক মুভিতে নিভিন, দুলকার, নাজরিয়া, পার্বতী, নিথিয়ার মত প্রিয় অভিনেতাদেরকে একসাথে দেখতে পাবেন, ভাল না লেগে যাবে কই! 😍 সম্ভব হলে মুভিটা বেস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে একসাথে দেখতে পারেন, ভাল লাগবে। বাংলা সাবও আছে। হ্যাপি ওয়াচিং! 😁

শাহরুখ খানের মুভির নাম

কমেন্টে লিখুন,,,
যেগুলো আমার #প্রিয় মুভি!!
কারণ, আমি ঐসব মুভিগুলো দেখতে চায়, যেগুলো শাহরুখের ফ্যানদের প্রিয়, কিন্তু আমি দেখি নি!!!
আমার ব্যক্তিগত ফেবারিট লিস্ট :-
১. মোহাব্বাতিন
(আমি মনে করি,
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা নং-১ রোমান্টিক মুভি)
২. কাল হো না হো
(আমার দৃষ্টিতে ভারতীয় সিনেমার
ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে হৃদয় বিদারক
মুভি যেটি দেখে চোখে জল পরবে নাহ, এমন কেউ নাই)
৩. দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে
৪. কুচ কুচ হোতা হ্যায়
৫. কাভি খুশি কাভি গাম
৬. দেবদাস
৭. মাই নেম ইজ খান
৮. চেন্নাই এক্সপ্রেস
৯. ওম শান্তি ওম
&
১০. ডন (DON)......
এবার আপনাদের ফেবারিটগুলো কমেন্টে জানিয়ে আমার মত অনেক
#শাহরুখ ফ্যান কে দেখার
সুযোগ করে দিন!!!
#পোস্টে ভুল-ত্রুটি থাকলে
ক্ষমা বর্জনীয়!!!

Upcoming Hollywood movie 2018

মুভিঃThe Meg (2018)
জনরাঃ Action, Horror, Sci-Fi
রিলিজঃ ১০ই আগস্ট ২০১৮.
শার্ক, হাংগর এসব নিয়ে হলিউডে প্রচুর মুভি তৈরি হয়েছে।তবে এই মুভিটা আমার কাছে একটা বিশেষ গুরুত্ববহন করছে কারণ এত অভিনয়ে আছেন জেসন স্ট্যাথাম।শুধু তার জন্যই আমি মনে করি মুভিটা রোমান্চকর হয়ে উঠবে।আসলে জেসন স্ট্যাথাম এর বেশির ভাগ এ্যাকশন মুভি দেখেছি।আর এ্যাকশন প্রিয় আমার মত মুভি লাভারসদের কাছে জেসন স্ট্যাথাম একটা প্রিয় নাম।The Meg মুভিটার ট্রেইলার আজকে দেখছি। দারুন হয়ছে।শ্বাসরুদ্ধ কর একটা মুহূর্ত তৈরি করেছে।
অপেক্ষা ১০ই আগস্ট।


মাথা ঘুরান্টি মুভি ???? 😰😰

....মুভি দেখলে আবার মাথা ঘুরায় নাকি (?) হ্যাঁ! ভাই-আর-বোনেরা আমার, কিছু কিছু এপিক মুভি আছে যে গুলি দেখলে শুধু মাথা ঘুরাবেই না, কারো কারো হয়ত পুরো হ্যাং হয়ে যাবে...404 NOT FOUND দেখাবে...কারো ভন ভন করবে... কেউ হয়ত কিছু চুল-ও ছিড়ে ফেলতে পারেন !!!!! (এত কিছুর জন্য আমি দায়ী না- অবশ্যই  ) 
.
ভাবছেন! মুভি দেখা কি বিনোদন নাকি নির্যাতন ? তাহলে লিস্ট ধরে মুভি গুলি দেখা শুরু করুন আর মুভি দেখার পর স্বাভাবিক থাকলে গ্রুপের পাতায় আপনার মতামত টুকু শেয়ার করুন যে- আপনার মাথা ভন ভন করলো নাকি টন টন !
.
😍 আর হ্যাঁ! এই ক্ষুদ্র পোস্টে আপনার ফ্রেন্ডদের ট্যাগ করার আগে তাদেরকে গ্রুপে এড করে নিন। নতুবা, তারা পোস্ট টি দেখতে পাবেন না।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
🎞️ " Mind Bending " মুভির তালিকাঃ
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
🎞️ Inception (2010)  জনপ্রিয়
🎞️ Fight Club (1999)  জনপ্রিয়
🎞️ Memento (2000)  জনপ্রিয়
🎞️ Donnie Darko (2001)  জনপ্রিয়
🎞️ Shutter Island (2010)  জনপ্রিয়
🎞️ Mr. Nobody (2009)  জনপ্রিয়
🎞️ Source Code (2011)  জনপ্রিয়
🎞️ Predestination (2014)  জনপ্রিয়
🎞️ Timecrimes (2007)  জনপ্রিয়
🎞️ Triangle (2009)  জনপ্রিয়
🎞️ The Prestige (2006)  জনপ্রিয়
🎞️ 12 Monkeys (1995)
🎞️ The Shining (1980)
🎞️ Coherence (2013)
🎞️ Identity (2003)  জনপ্রিয়
🎞️ Enemy (2013)
🎞️ Pi (1998)
🎞️ Interstellar (2014)  জনপ্রিয়
🎞️ Minority Report (2002)  জনপ্রিয়
🎞️ Cube (1997)
.
.
▬▬▬▬▬▬▬
🔄 এছারাও,
▬▬▬▬▬▬▬
🎞️ The Machinist (2004) ☑ জনপ্রিয়
🎞️ Eternal Sunshine of the Spotless Mind (2004) ☑ জনপ্রিয়
🎞️ The Game (1997) ☑ জনপ্রিয়
🎞️ The Butterfly Effect (2004) ☑ জনপ্রিয়
🎞️ Looper (2012)
🎞️ The Fountain (2006)
🎞️ Upstream Color (2013)
🎞️ Primer (2004)
🎞️ Extracted (2012)
🎞️ Open Your Eyes (1997)
🎞️ Abre los Ojos (1997)
🎞️ Synecdoche, New York (2008)
🎞️ Jacob’s Ladder (1990)
🎞️ Lost Highway (1997)
🎞️ Mullholland Drive (2001)
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
📥 পোস্ট টির ১ম কমেন্টে একটি ওয়েবসাইটের লিস্ট দেয়া আছে। সেখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্য অনুযায়ী ওয়েবসাইটে গিয়ে মুভি গুলি ডাউনলোড করতে পারবেন 
🌷 লিস্টে নেই, তবে আপনার কাছে দেখে সেরা মনে হয়েছে এমন সব মাথা ঘুরান্টি মুভির নাম এই পোস্টের কমেন্ট বক্সে জানাতে আপনাকে স্বাগত জানাই। কমেন্ট পড়েও অনেকে নতুন মুভির নাম জেনে থাকেন। 
.
#Happy_Watching ] 😍

Followers