অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ-কে নিয়ে যে দুঃখবোধ দেখছি নতুন কোনো ঘটনা নয় এদেশের শোবিজ অঙ্গনের নয়। এর মধ্যে বাস্তব শিক্ষা নেয়ার উপাদান আছে। আজকাল গল্পহীন সস্তা নাটকে যারা অভিনয় করছে তাদের জন্য নাটকের দরজা ঠিকই খোলা আছে। যাদের সস্তা সিক্যুয়েল নাটক করার প্রয়োজন পড়ছে তারা নির্ধারিত আর্টিস্টের শিডিউলের জন্য তাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে হলেও শিডিউল যোগাড় করছে। কিন্তু তাজিন আহমেদ-এর মতো মোস্ট সিনিয়র আর্টিস্ট নাটকে কাজ পায়নি। অথচ গল্পনির্ভর নাটকে তাজিন-ই হতে পারত যোগ্য সিলেকশন।
তাজিন আহমেদ-রা বাস্তব শিক্ষাটা কি শুধু নাটকের প্ল্যাটফর্মেই দিয়ে যাচ্ছেন! না, এটা বর্তমানে চলচ্চিত্রেও আছে। কিভাবে! যে সিনিয়র আর্টিস্টরা শেষ বয়সে কাজের অভাবে ভোগে, অর্থকষ্টে থাকে তাদেরকে ইগনোর করা হচ্ছে এ প্ল্যাটফর্মেও। তাদের বিপরীতে এমন সব আর্টিস্ট সুযোগ পাচ্ছে যাদের দেখে দর্শক বিরক্ত। মৃত্যুর সময় সিনিয়রদের করুণ অবস্থা নিউজ হয়ে আসে 'অমুক আর্টিস্ট সরকারের কাছে আবেদন করেছেন চিকিৎসার্থে সাহায্যের জন্য।' তাজিন আহমেদ যেমন অর্থকষ্টে ভুগেছেন খবরে প্রকাশ।
তাজিন আহমেদ-রা আমাদের যেই বাস্তবতাকে দেখিয়ে যাচ্ছেন তার শেষটা সহসাই হবে না কারণ সামনে অনেকের জন্যই বাস্তবতাটা তেমন হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment