"সুলাইমান বললো, “হে সভাসদগণ (জ্বীনদের)! তারা অনুগত হয়ে আমার কাছে আসার আগে তোমাদের মধ্যে কে তার সিংহাসন আমার কাছে নিয়ে আসতে পারে?
এক বিশালকায়-শক্তিশালী জ্বীন (ইফ্রিত) বললো, আপনি নিজের জায়গা ছেড়ে ওঠার আগেই আমি তা এনে দেবো৷আমি এ শক্তি রাখি এবং আমি বিশ্বস্ত৷"
সূরা-আন-নামল (২৭ঃ৩৮-৩৯)
পবিত্র কুরআন শরীফ এবং সহীহ বুখারী থেকে এই "ইফ্রিত" নামটি চলে আসে, এই ইফ্রিত আসলে কি বা কেন একে নিয়েই আলোচনা। (রেফারেন্সঃ Wikipedia)
"ওলাদচক্র" নামের একটা কু-চক্রি চক্র যাদের কাজ ছিল ইফ্রিতের বংশ রক্ষা করা ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা, ঠিক এমনি ঘটেছিল ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও তার আশেপাশের এলাকা থেকে, হঠাৎ করেই যেন গায়েব হতে থাকে সে এলাকার নারীরা। আর এই ভয়ংকর বিষয়টির জন্য "কেয়ামত আন্দোলন" নামে এক আন্দোলন গড়ে তোলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাসিম আলী। এই আন্দোলন যথেষ্ঠ সমর্থন লাভ করলেও এই আন্দোলনের বিষয়বস্তু, প্রক্রিয়া আর ফলাফল ছিল অনেকটা উগ্রপন্থী আর এই কারণেই সরকার এই আন্দোলন ন্যাসাৎ করেছিল।
এই ইফ্রিতের সাথে আসলে গায়েব হওয়া নারীদের কি সম্পর্ক? আর সেখানে কেয়ামত আন্দোলনও বা কি ভূমিকা রেখেছিল? আবার এই ইফ্রিতের বংশের ধারাবাহিকতাও কিভাবে প্রক্রিয়াশীল? সব কিছুর উত্তর মিলবে যদি সেই প্রফেসর কাসিম আলী রচিত "The Evil Child" বইটি পড়া যায়।এই বইয়ে লেখক সুন্দর ভাবে বর্নণা করেছেন।🤨🤨
ইফ্রিত হলো শক্তিশালী, বিশালাকায়, দানবাকৃতির এক অন্যতম জ্বীন গোষ্ঠী। বলা হয়ে থাকে তারা ইব্লিশের বংশধর, এই ইফ্রিত জাতিদের মধ্যে ভাল-মন্দ থাকলেও, খারাপদের সংখ্যাটায় বেশি।☠️☠️☠️
এদের অন্যতম, অনন্য আর অবাক করা বৈশিষ্ট্য হল এরা মানুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, এদের সন্তান মানব সন্তানের মত ৯ মাসের মত দীর্ঘযাত্রা নয় বরং হিজরি অনুযায়ী মাত্র ১ মাসের মধ্যেই এরা প্রসব করে ইফ্রিত সন্তান, এখানে আরেকটি আশ্চর্য্যের বিষয় হল প্রসবের সময় এদের মানব শিশুর মত "নাভি-রজ্জু বা Umbilical Cord" থাকে না, অনেক আজব তাই না!!!! 😯😫
এই ইফ্রিতের রক্তও মারাত্বক রকমের বিষাক্ত এবং এই বিষ এতটায় মারাত্বক যে যদি ইফ্রিত সন্তান সেটি ২৮ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করতে বা খালাস করতে না পারে তাহলে নিজের বিষক্রিয়ায় সে নিজেই মৃত্যুবরণ করবে। 😮🙄😮
এখন আসুন, যারা The Evil Child বইটি পড়তে পারছেন না তারা দ্রুত দেখে ফেলুন প্রসিত রয় এর এক অনবদ্য Pari - not a fairytale এই মুভিটি আজ অবধি সকল ভারতীয় হরর এর স্রোত থেকে আলাদা করে তৈরী করে নিয়েছে নিজস্ব ধারা। এখানেই মিলবে আপনার সব না-জানা উত্তর আর জেনে যাবেন গল্পের থিম নায়ক "ইফ্রিত"কেও।😍😍😍
গল্পের প্রথমেই এক বর্ষাস্নাত দিনে বিয়ের পাত্রী পায়েলী (রিতাভারী চক্রবর্তী) দেখে বাসায় ফিরছিল অর্ণব (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) ও তার পরিবার।
একটা সময়, আকস্মিক! এক বোরখা পরা এক মহিলা পড়ল তাদের গাড়ির একদম সামনে, এরপর শুরু হয় সেই মহিলার পরিবারের অনুসন্ধান, যুক্ত হয় পুলিশ।এই অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে এই মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র রোখসানা (আনুশকা শর্মা)।
রোখসানার সাথে অর্ণবের রহস্যপূর্ণ সম্পর্ক, রোখসানার আশ্রয়দাতা হিসেবে এখন কিছুটা সে কিংকর্তব্যবিমূড়, ধীরে ধীরে নিরীহ আর অস্বাভাবিক মেয়েটার প্রতি সন্দেহ বাড়তে থাকে বৃষ্টির শব্দের সাথে।
এরপর প্রফেসর কাসিম আলী (রজত কাপুর) এর সাথে অর্ণবের বোঝা-পড়া, হবু-স্ত্রী পায়েলীর সাথে ভুল বোঝা-বুঝি, আশে-পাশের বে-খেয়ালি কর্মকাণ্ড।
( এতো কিছুর মাঝে ইফ্রিত কই?? এতসব ঘটনার সাথে এসবের সামঞ্জস্য কোথায়?? মুভিটায় এসবের উত্তর)
এভাবে এগোতে থাকে সিনেমা এক ঝুম বৃষ্টি সাথে নিয়ে, তার সাথে আরো চলতে থাকে অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, স্ক্রীন-প্লে, গ্রাফিক-ভিজুয়াল। সব যেন, এক ছন্দে নিবেদিত প্যাকেজ।🤩🤩🤩
আমার দেখা ইন্ডিয়ান বেস্ট হরর জনরার মুভি এই পর্যন্ত। নিস্তব্ধ রাতের অঝড় বৃষ্টিতে এই মুভি দেখে আসলেই ভালো লাগবে।
Highly Recommended 😎😎😎
বি।দ্রঃ অনেক ভয় লাগবে এই ভেবে আর অনেক ভয়ংকর কিছু খুজতে যেয়ে মুভির কাহিনী থেকে বিচ্যূত হইলে সবকিছুই হারাবেন, অন্তত শেষ হয়ার আগ পর্যন্ত কাহিনীতে হারিয়ে যান।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment